রিসোর্স

কীভাবে কন্টেন্ট স্থানীয়করণের মাধ্যমে আপনি নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন

রিসোর্স ছবি
পেশাদার পদ্ধতি

কীভাবে স্থানীয় রীতিনীতি মেনে কন্টেন্ট অনুবাদ করা হলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা নতুন দর্শকদের আকর্ষণ করতে ও আরও মার্কেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তা জানুন।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আপনি জানেন যে মনিটাইজেশনের সবচেয়ে ভাল উপায় হল যত বেশি দর্শকদের কাছে সম্ভব আপনার কন্টেন্ট প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় করে তোলা। সেটি করার একটি খুব ভাল উপায় হল আপনার ব্লগ অন্য ভাষা বা মার্কেটের জন্য স্থানীয়করণ করা। এর ফলে আপনি একই কন্টেন্ট ব্যবহার করে আরও বেশি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন। এই নিবন্ধে স্থানীয়করণ বলতে কী বোঝায়, কীভাবে সেটি আপনাকে সাহায্য করবে এবং কোন মার্কেট বা দর্শক আপনার পক্ষে উপযুক্ত সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব।

স্থানীয়করণ বলতে কী বোঝায় এবং সেটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

আপনার ব্লগ বা অন্য কন্টেন্ট নতুন দর্শকদের রীতিনীতির কথা মাথায় রেখে অনুবাদ করাকে স্থানীয়করণ বলা হয়। সাধারণ অনুবাদের পরিবর্তে এই পদ্ধতিতে আসল কন্টেন্টে ব্যবহৃত চলতি ভাষা ও অন্যান্য শব্দগুচ্ছের মানে পরিবর্তন না করেই টার্গেট ভাষায় সেগুলির উপযুক্ত অনুবাদ করা হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনলাইন জগতে ইংরেজি সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা হলেও চারজন ব্যবহারকারী পিছু মাত্র একজন ইংরেজি জানেন। অন্যভাবে বলতে গেলে, আপনি শুধু ইংরেজিতে প্রকাশ করছেন মানে অনলাইন জগতের ৭৫% ব্যবহারকারীর কাছে আপনি পৌঁছাতে পারছেন না।

শুরু করা

স্থানীয়করণ শুরু করার আগে পৃথিবীর কোন অঞ্চলের লোকজন আপনার কন্টেন্ট দেখছেন এবং সেই মার্কেটে কোন ভাষা বলা হয় সেগুলি খতিয়ে দেখুন। Google Analytics-এ ব্রাউজারের ভাষা অনুযায়ী ব্যবহারকারীদের সার্চ করে আপনি এটি সহজেই করতে পারবেন।

রিসোর্স এম্বেডেড ছবি

টার্গেট করার জন্য নতুন দেশ খুঁজে পেলেও, আপনাকে সেগুলির মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের জন্য কন্টেন্ট স্থানীয়করণ করবেন সেটি বেছে নিতে হবে। যেমন হল্যান্ডের ক্ষেত্রে এটি নাও প্রয়োজনীয় হতে পারে, কারণ সেখানে ৮৭% লোকজন ইংরেজি জানেন। কিন্তু, পোল্যান্ডে ৯৫% লোকজন দেশীয় ভাষায় অনলাইনে কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করেন।

এই সেরা পরামর্শগুলির সাহায্যে স্থানীয়করণের প্রক্রিয়াকে যতটা সম্ভব বাধাহীন করে তুলুন।

অটো-ট্রান্সলেটর ব্যবহার করবেন না

অনলাইন ট্রান্সলেটর দৈনন্দিন কাজের জন্য উপযুক্ত হলেও, স্থানীয় ভাষাভাষী দর্শকদের জন্য কন্টেন্ট অনুবাদের কাজে সেগুলি ব্যবহার করলে খুব সম্ভবত অর্থবহ কন্টেন্ট পাওয়া যাবে না। অনুবাদ করা বাক্য সাবলীল হবে না অথবা অনুপযুক্ত শব্দ ব্যবহারের মতো খারাপ কিছুও ঘটতে পারে।

কোনও স্থানীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন

কোনও উপযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিকে স্থানীয়করণের দায়িত্ব দিলে তিনি শুধু সঠিক অনুবাদ করবেন তাই নয়, তিনি সেই অঞ্চলের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি মেনে আপনি যাদের টার্গেট করতে চান তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বোঝার মতো কন্টেন্ট তৈরি করবেন।

ইউনিভার্সাল ল্যাঙ্গুয়েজ সিলেক্টর (ULS) ব্যবহার করুন

এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আপনার ব্লগ ব্রাউজ করার সময় সহজে ও দ্রুত নিজের অভিরুচি অনুযায়ী ভাষা বেছে নিতে পারবেন। এটির সাহায্যে স্থানীয় ফন্ট উপলভ্য নেই এমন লিপিতে লেখা কন্টেন্ট ব্যবহারকারীরা পড়তে অথবা আপনার সাইটের মেনুতে ব্যবহৃত ভাষা কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

SEO সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক পেশাদার পদ্ধতি মেনে চলুন

যেহেতু শীঘ্রই আপনার ওয়েবসাইটে আলাদা ভাষা ও লোকেশনের জন্য কন্টেন্ট দেখানো হবে, সেই জন্য SEO সংক্রান্ত এই আন্তর্জাতিক পেশাদার পদ্ধতি মেনে চলতে ভুলবেন না। যেমন, আপনার সাইটের কোন ভার্সন দেখাতে হবে সেটি Google যাতে বুঝতে পারে সেই জন্য hreflang ট্যাগ ব্যবহার করা।

ধীরে কাজ করুন

সব মার্কেটের জন্য আপনার সব কন্টেন্ট একবারে স্থানীয়করণের চেষ্টা করবেন না। এর পরিবর্তে, সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় দর্শকসংখ্যা ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্টকে অগ্রাধিকার দিয়ে শুরু করুন। AdSense ব্যবহার করলে আপনার কাজের ভার কমতে পারে, কারণ এটি অটোমেটিক আপনার ব্যবহারকারীদের ভাষায় বিজ্ঞাপন পরিবেশন করে।

পরের ধাপ

স্থানীয়করণের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে খুব কম পরিশ্রম ও কম সময়ে আপনি আগে থেকেই আছে এমন কন্টেন্টকে নতুন কাজে লাগাতে এবং নতুন দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারেন। তবে এটি মনে রাখবেন যে পেশাদার পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে না চললে ও খারাপ কোয়ালিটির কন্টেন্ট তৈরি করলে আপনার ব্র্যান্ডের খুব দ্রুত বদনাম হবে এবং গ্রাহকরা আর ফিরেও তাকাবেন না।

স্থানীয়করণ পরীক্ষা ও প্রয়োগ বা নতুন অঞ্চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে পরামর্শ পেতে মার্কেট ফাইন্ডার ওয়েবসাইট দেখলে আপনার সুবিধা হবে। আপনি নতুন প্রোজেক্ট শুরু করা এবং কোনও বাধা ছাড়াই চালানোর জন্য সব নির্দেশিকা ও রিসোর্স সেখানে পাবেন।